ইদানিং নিকটজনের কাছ থেকে ‘আলোকিত মানুষ’ হওয়া শিখছি: আলোকিত মানুষ হতে হলে গান শিখতে হয়, নাচ শিখতে হয়, পহেলা বৈশাখ পালন করতে হয়, ধর্মভীরু না হয়ে ধর্মপ্রিয় হতে হয়, ব্লা ব্লা ব্লা। সবকিছু ছেড়ে দ্বীন পালন করা যায় নাকি, হু? তবে তো আর ধার্মিকতার বেশ মাথায় নিয়ে জাতিভেদ ভুলে হোলিতে মাখামাখি করা যাবেনা, মঙ্গল শোভাযাত্রায় মঙ্গলপ্রার্থীদের সাথে পুজা অর্চনায় একাত্ম হয়ে যাওয়া যাবেনা!
শুনুন তবে: এক তাবেঈ তার যুগের মুসলমানদের দেখে বলেছিলেন: তোমরা যদি সাহাবাদের দেখতে তবে তাদের পাগল ভাবতে, আর তারা যদি তোমাদের দেখতেন তবে কাফির ভাবতেন।
তাবে’ঈনদের যুগের অবস্থা যদি এই হয়, তবে চিন্তা করে দেখুন: এই আলোকিত ডিজিটাল মানুষের যুগেও দ্বীনকে আঁকড়ে রাখার জন্য কতখানি অন্ধকারাচ্ছন্ন ‘পাগল’ বনে যাওয়া উচিৎ? আল্লাহর রাসূল নিজে বলে গেছেন:
“ইসলাম শুরু হয়েছিল অপরিচিত অচেনাদের দিয়ে, শেষও হবে তাদের দিয়েই।”
আমরা অন্ধকারাচ্ছন্ন, গোড়া, অচেনা, অপরিচিতদের দলভুক্ত হওয়ার আশা পোষণ করি, এবং তাতেই সন্তুষ্ট। আল্লাহ আমাদেরকে খিচুড়ি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত না করুন, যারা এক বেলা মুসলিম আরেক বেলা আধা মুসলিম বলে স্বীকৃতি পেতে চায়। আর যারা না বুঝেই নিজের খায়েশমত ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন, আল্লাহ তাদেরকে এটুকু বোঝার তাউফীক দিন: ‘দিল চাহে জিন্দেগী না, রব চাহে জিন্দেগীর নামই দ্বীন।’ দ্বীন জানতে হলে দ্বীনের সোর্স থেকে, আলেমদের কাছ থেকে জানতে হবে; নফসের সোর্স থেকে না, ‘আলেমদের থেকে আমি বেশি জানি’ নফসের এই ধোকাটাই তো শয়তানের বড় হাতিয়ার।