আগামী ৫ জুলাই থেকে বুয়েটে ছোট ভাইদের (‘১৩) ক্লাশ শুরু হচ্ছে। রমযানে চলে যাব বলেছিলাম সেই হিসাবে আগেভাগেই কিছু কথা বলে যাই। হয়ত লিখাটা অনেক ছোট ভাইয়েরই চোখে পড়বে না, যাদেরও আবার চোখে পড়বে তারাও হয়ত ‘দুচ্ছাই’ বলে উড়িয়ে দেবে কিন্তু কেন জানি না বলে পারছি না।

(১) বুয়েটে আসার পর অনেকেই প্রথমবারের মত বাড়ির বাইরে আসায় চারপাশের সবকিছু রঙ্গিন চশমায় দেখতে শুরু করে। এই নিয়ে বেশী কিছু বলার নাই। শুধু একটাই কথা- ফেণ্ড নির্বাচনের সময় খুউউউব খেয়াল কৈরা। ১-১ এ যার সাথে যেমন সম্পর্ক থাকে ৪-১ এ এসে হিসাব অনেকটাই উল্টে যায়। ব্যক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, রেসাল্ট, লক্ষ্য ইত্যাদি আরও অনেক কারণে পারস্পরিক সম্পর্কগুলো দ্রুত চেঞ্জ হয়। তাই এমন কাউকে চুজ করা উচিত ১-১ থেকে একেবারে জান্নাত পর্যন্ত যেন এই সম্পর্ক টিকে থাকে। এজন্য কী করা লাগবে সেটা তোমাদেরকেই ঠিক করতে হবে।

(২) প্রথম প্রথম যে কথাটা শোনা যায়-‘CG কিছু না, GRE-ই সব’। এই মিষ্টি কথায় ভুলে অসংখ্য পোলাপান পড়াশুনা ছেড়ে দেয়, কেউবা আবার দাড়ি রেখে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদেম বনে যায়। এইটা বিশাল ভুল এপ্রোচ। ৩-২/৪-১ এ এসে বুঝবা রেসাল্ট ঠিক রাখলে কত বড় সুবিধা পাইতা। কেউ কেউ সামান্য পড়তে দেখলেই ‘আঁতেল’, ‘আঁতেল’ বলে উদ্ধার করে ফেলে। এদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকা আবশ্যক, এদের রেসাল্ট যতই ভাল হোক। আফটার অল, দূর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যায্য।

(৩) বিশাল সংখ্যক ছাত্রের জীবনের একমাত্র লক্ষ্যই থাকে বুয়েটে আসা। তাই এরা আসার পর একেবারে লক্ষ্যহীন পথ চলতে থাকে-যার পরিণতি ভাঙ্গাচোরা একটা CG আর ফাইনাল ইয়ারে একগাদা আক্ষেপ। তাই, বুয়েটে আসার পর ‘আমি কী হনু রে’ না ভেবে ৫ বছর পরের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলা উচিত। “আরে হবে হবে ধীরে সুস্থে” এই ধরণের চিন্তা-ভাবনা না রাখারই অনুরোধ থাকল।

# আরও অনেক অনেক কিছু বলার ছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারণে বলা গেল না আবার অনেক কিছু নিজে ঠেকে ঠেকেও শিখতে হয় তাই বললাম না। যাই হোক, আমার দেখা প্রধান ৩ টা সমস্যাই বললাম এখানে। ছোট ভাইদের বুয়েট লাইফ আনন্দময় হোক-এই কামনা থাকল।

২৬ জুন, ২০১৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *