বাদ ‘ঈশা এক ব্যাগ কালো কালো ছোপওয়ালা কলা নিয়ে আব্বুর আগমন।
– নাও, কলা খাও তোমরা, খাদেমাকেও ডাকো। ইকরাম করলাম, বেচারা বিক্রি করতে পারছেনা, রাত হয়ে গেছে, কলাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
‘ইকরাম’….আহ! কজন ভাবে এইভাবে? মানুষের প্রতি মানুষের মনের এই রহমটুকু দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে যেভাবে, কেউ কারো জন্য ভাবেনা আজকাল! আম্মু আব্বুর কিছু কাজে মাঝে মাঝে সম্বিৎ ফিরে পাই, নিজের মনের অব্যক্ত সুরগুলো খুজে পাই- রাস্তায় চলতে ফিরতে এমন অসহায় কাউকে দেখলে ভেতরটা হু হু করে কেদে ওঠে। বাস্তবতার দোহাই দিয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়ে ওঠেনা বেশিরভাগ সময়েই, কিন্তু কেউ কেউ সেটুকুও নিয়ে এগিয়ে যান…..
إرحموا من في الأرض يرحمكم من في السماء.
“জমিনওয়ালাদের উপর রহম করো, আসমানওয়ালা তোমাদের উপর রহম করবেন।”
অতঃপর…. জোর করে ভরাপেটেও কলা খেলাম, সুখটা খাওয়ার না, ইকরামের। সকাল পর্যন্ত কলা টিকবেনা মনে হয়, অগত্যা নষ্ট হবে। খাবার নষ্ট করতে খুব কষ্ট হয়, আধানষ্ট খাবারও প্রোসেসিং করে দু’আ পড়ে খেয়ে ফেলি, আলহামদুলিল্লাহ। এই অভ্যেসটাও আম্মুর কাছে পাওয়া, নিজের অর্জিত না। রব্বে কারীম আব্বু আম্মুকে উভয়জগতে উত্তম বিনিময় দিন।