কনজিউমারিজম ও আমরা

অতঃপর আমরা আমাদের আলমারীটি খুললেই মিলাতে পারবোনা, প্রয়োজমীয় জামা কাপড় থাকার পরেও অতিরিক্ত কি পরিমাণ কাপড় আমরা প্রত্যহ কিনে থাকি। গুণে বলতে পারবোনা আমাদের কতগুলো পরার কাপড় আছে, অথচ সাহাবারা তাদের সংসারের সমুদয় সম্পদের হিসেব হাতে গুণতে পারতেন, তা নিয়েও বারংবার চিন্তিত হতেন। মৃত্যুর সময় আমাদের সমুদয় সম্পদের হিসেব বাদ দিলাম, কাপড়ের আলমারীর হসেবই দিতে পারবোনা অন্তত ৯৯ শতাংশ মানুষ। মিথ্যে বলছিনা, আলবৎ সত্যি, আমার দেখা দ্বীনি ভাইবোনদের মধ্যেই এই অপব্যয় আর বিলাসিতার হার কম করে হলেও ৯৭-৯৮%, ইয়া সালাম!

উত্তোরণের উপায়:
★ বাজারে কম ঘুরতে যাওয়া(হাদীসে এটাকে নিকৃষ্ট স্থান বলা হয়েছে),
★ বাজারীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলা, দ্বীনি ভাই/বোন হলেও অন্তত তাদের ‘বাজাইরা’ অভ্যাসের সঙ্গ দেয়া থেকে দূরে থাকা,
★ প্রত্যেকবার নতুন কাপড় কেনার আগে নাফসের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে নেয়া: আমার জীবনচলার জন্য এই জিনিসটা কেনা কি আসলেই প্রয়োজন?
এটা না হলেই কি চলতো না?
★ “দুনিয়াবিমুখ শত মনীষী” কিংবা “রাসূলের চোখে দুনিয়া” টাইপ যুহদের বইগুলো ঘরে ঘরে পাঠ করা, পড়ার জন্যই পড়া নয়, জীবনে বাস্তবায়নের তাগিদে পড়া, ইসলাহের নিয়াতে পড়া।
★ হাতের টাকা পয়সা দ্বীনের কাজে কিংবা মানুষের কাজে এমন পরিমাণে খরচ করে ফেলা যাতে নিজের আহ্লাদি খরচের জন্য বাড়তি টাকা না থাকে।
★ স্বামী-স্ত্রী পরস্পর সময় পেলেই শপিংয়ে না বেরিয়ে, ফেবুর কাপড়ের পেইজগুলোতে স্ক্রলিং না করে ইলমের ত্বলবে সময় কাটানো, পরস্পর পরস্পরকে বিলাসীতার বিরুদ্ধে নসীহত করতে থাকা, পারতপক্ষে কম খরচে জীবন চালানোর অভ্যেস করা।

আল্লাহ আমাদেরকে ভোগ-বিলাসের ফিতনা থেকে রক্ষা করুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ভয়টিই সবচে বেশি করে গেছেন এই উম্মাহর ব্যাপারে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *