আমাদের ইসলামিস্টদের একটা দোষ,
: ধুর, এরা কিপটা! জন্মদিনে খাওয়ায় না, বিবাহ বার্ষিকীতে খাওয়ায় না…..
বলি: আসুন, আমরা দিবস ছাড়াই মানুষকে খাওয়াই, দিবসে কেন খাওয়াই না সেটা স্পষ্টাক্ষরে জানিয়েই অন্যদিন খাওয়াই, অন্যদের চে বেশি খাওয়াই। আরব জাতির মত অতিথিপরায়ণ ইতিহাসে অন্য কোন জাতি ছিল বলে জানা নেই, আমাদের পূর্বসুরীরা কেউ কেউ প্রতিবেলা খাবার সময় একজন করে মেহমান সাথে নিয়ে খেতেন, মেহমান খুঁজতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। হাদীসেও অন্যকে খাওয়ানোর ব্যাপারে যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, অন্য কোন গ্রন্থে করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে হ্যা, অপব্যয় না করি, রেস্টুর্যান্টেই খাওয়াতে হবে এমন না হোক, এতটুকু তরকারি রান্না করলেও একটু ঝোল বেশি রেখে প্রতিবেশীর ঘরে পাঠাই, সামান্য কিছু দিয়ে হলেও মেহমানকে আপ্যায়ন করি।
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আদেশ দিচ্ছেনঃ
يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلَامَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصِلُوا الْأَرْحَامَ وَصَلُّوا وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ
“হে লোক সকল! তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন (রাতের বেলা) নামায পড়ো। তাহলে তোমরা শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।” [সুনান ইবন মাজাহ]
আরেক হাদীসে এসেছেঃ “তুমি যদি ঝোল রান্না কর তাহলে তাতে বেশি করে পানি দাও (একটু বেশি পরিমাণে রান্না কর) এবং তোমার প্রতিবেশীদেরকে (খোজ করে) পাঠিয়ে দাও।”
জাতি হিসেবে মুসলিমরা ‘অপব্যয়কারী’ না হলেও কখনো ‘কৃপণ’ বলে পরিচিত ছিলোনা, যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়েও পানি হাতে পেয়ে নিজের গলা না ভিজিয়ে পাশের জনকে এগিয়ে দিয়ে নিজে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিয়েছে, এ ইতিহাস তো আমাদেরই….
[তবে হ্যা, রোজ রোজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে অকারণে অপ্রয়োজনে বিলাসিতার খাওয়া খেয়ে খেয়ে ফটো আপলোডানো খাবার খাওয়া & খাওয়ানো এর কোনটারই সমর্থন দিতে পারছিনা।]