গ্রহণ: করণীয়-বর্জনীয়

গ্রহণ হলে আমাদের করণীয় সুন্নাহ হচ্ছে, জামায়াতে সালাতুল কুসুফ আদায় করা। জামায়াতে সম্ভব না হলে একাকীও পড়ার অনুমোদন রয়েছে। এই সালাত নিষিদ্ধ সময়েও পড়া যায়।

অনেকে মনে করেন, সালাতুল কুসুফ মানে ভয়ের নামাজ। না, খওফ বা খাশইয়াহ মানে ভয়। কুসুফ বা খুসুফ দুটোর অর্থই গ্রহণ।

 কুসুফ (كسوف) মানে সূর্যগ্রহণ,
 খুসুফ (خسوف) মানে চন্দ্রগ্রহণ।

তাই সালাতুল কুসুফ/খুসুফ অর্থ গ্রহণের নামায৷ রাসূল সা. ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সাহাবাদের নিয়ে জামাতে পড়তেন এই সালাত, কেননা এই সময় আল্লাহর শাস্তি এসে পড়তে পারে। বিজ্ঞানও তা সমর্থন করে (এ সময় চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে। ফলে সূর্য ও চন্দ্রের মিলিত আকর্ষণ শক্তির প্রচন্ড টানে অন্য কোন গ্রহ থেকে পাথর বা কোন মহাজাগতিক বস্ত্ত পৃথিবীর দিকে ধেয়ে তা আসলে পৃথিবী ধ্বংসের একটা কারণ হতে পারে। ১৯০৮ সালের ৩০ শে জুন ১২ মেগাটন টিএনটি ক্ষমতার ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বিশাল মিটিওরাইট রাশিয়ার সাইবেরিয়ার জঙ্গলে পড়ে ৪০ মাইল ব্যাস সম্পন্ন ধ্বংসগোলক সৃষ্টি করেছিল, লক্ষ লক্ষ গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।)

আর যাদের সালাতের সুযোগ নেই, তারা
ইস্তিগফার করি,
দু’আ করি,
সাদাক্বাহ করি, ইনশাআল্লাহ।

গর্ভবতীরাও তাই করুন। তবে অমুক অমুক কাজ করলে বাচ্চার হাত কাটা, পা কাটা, আঙ্গুল জোড়া লাগা, চোখ অন্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি হবে, এসব একদম কুসংস্কার। এগুলো বিশ্বাস করবেন না।

(https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2594291430859432&id=1787338651554718)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই চাঁদ ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারও মৃত্যু বা জীবনের কারণে এ দুটোয় গ্রহণ লাগে না। অতএব তোমরা যখন তা দেখবে আল্লাহকে ডাকো, তাকবীর দাও, নামাজ পড়ো ও সাদাকা করো।” (বুখারী ও মুসলিম)

আসুন, একটি বিলুপ্তপ্রায় সুন্নাহর পুনরুজ্জীবন করি। ইমাম সাহেবরা প্লিজ, মসজিদে জামাতে সালাতুল কুসুফ পড়ানো চালু করুন। মাসজিদে হারামে সালাতুল কুসুফ পড়ার লাইভ দেখুন

(https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=575011839958566&id=92635318093)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *