সূরা ফাতিহার একটা অনন্য বৈশিষ্ট্য হল- আমরা যখন সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ি তখন আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন। প্রতিটি আয়াতের পর আল্লাহ আমাদের কথার উত্তর দেন। আমরা যখন বলি-“আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন” তখন আল্লাহ বলেন- “আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল।” বিষয়টা শাইখ আব্দুন নাসির জাংদা খুব সুন্দর একটা উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন-
কারও যখন প্রথম সন্তান হয় তখন সেই পিচ্চি যাই করে তাই তার বাবা-মাকে আনন্দ দেয়। অনেক সময় দেখা যায় পিচ্চিরা খেলনা হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে রান্না-রান্না খেলা করে। সেই বায়বীয় খাবার আবার বাবা-মাকে খেয়ে (আসলে খাওয়ার অভিনয় করে) খুব খুশি হয়ে বলতে হয় “খুব সুন্দর, অসাধারণ।” অথচ সেখানে আদৌ কোন খাবারই ছিল না। এটাই সন্তানের প্রতি বাবা-মার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।
এবার চিন্তা করুন আমাদের সালাত-কত খুশূ’বিহীন, অমনোযোগী আর নানাবিধ দুনিয়াবী চিন্তায় ভরপুর হয়েও যখন আমরা বলি “আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন” তখন আল্লাহ খুশি হয়ে বলেন “আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল।” চিন্তা করা যায়! প্রতিদিন আল্লাহর কত শত অবাধ্যতার পরেও সালাতে ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহ আমাদের উপর কত খুশি হন! সুবহানাল্লাহ!
৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪