এক আপু গল্প করছিলেন: আমার হাজব্যান্ডের এক দ্বীনি ভাই, এত্ত পরহেজগার ছিলেন বিয়ের আগে, কিন্তু বিয়ের পর থেকে এমন বদলে গেলেন, উনার ওয়াইফ সারাদিন ফেবুতে ছবি আপলোড করে, ডাকফেইসওয়ালা ছবি পর্যন্ত দেয়, ভাইও একইরকম হয়ে গেছেন, অবিশ্বাস্য। আসলে বিয়ের আগে অনেক খুঁজেছেন ভালো মেয়ে কিন্তু না পেয়ে একটা অদ্বীনী মেয়ে বিয়ে করলেন, সেই থেকেই পতন।
বললেম: তা ঐ ভাইয়ের ওয়াইফ কি সুন্দরী?
– হ্যা, খুব সুন্দরী।
– যা ভাবছিলাম তাই। উনি নিশ্চ্যই সুন্দরী+দ্বীনি একসাথে খুঁজেছিলেন & ফাইনালি এই কম্বিনেশন না পেয়ে দ্বীনের পরিবর্তে দুনিয়া বেছে নিয়েছেন, অসুন্দরী দ্বীনি বিয়ে না করে অদ্বীনি সুন্দরী বিয়ে করেছেন। ঘর থেকে নিজ হাতে দ্বীন বের করে দিলে কি তা আর ফিরে আসে? সুন্দরী অদ্বীনি একটা বউ বিয়ে করে কেউ সুখী হতে পারলেও সেই ঘরে অন্তত সাহাবীওয়ালা জিন্দেগী এক্সপেক্ট করা যাবেনা, যদি না আল্লাহ তাকে হেদায়াত দেন।
এবং এই ভুলটাই দ্বীনি ভাইয়েরা করেন। দ্বীনি+ সুন্দরী খুঁজতে অপরাধ নেই, কিন্তু যারা চরিত্র হেফাজতের অযুহাতে দ্বীন বাদ দিয়ে কেবল সুন্দরী বেছে নেন, তারা যে শেষ পর্যন্ত জীবনে দ্বীন হেফাজত করতেই ব্যর্থ হয়ে যান, সেকথা মনে থাকে কি? জানেন তো, যে নারী দ্বীনি হলে একজন স্বামীকে পটিয়ে পটিয়ে দ্বীনের ক্ষেত্রে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই নারী বিপরীত হলে দ্বীনি স্বামীকেও দুনিয়ার স্রোতে ডুবিয়ে ফেলতে পারে, আল্লাহ তা’আলা সেই কনভিন্সিং পাওয়ার তাদের দিয়েছেন।
সুতরাং যে ভাইয়েরা ভাবছেন: ইস! আমার বউটা যদি অমুক ভাইয়ের বউয়ের মত দ্বীনদার হতো!
বলি: আহা! আপনিও যদি অমুক ভাইয়ের মত স্পাউজ খোজার সময় সৌন্দর্যের পরিবর্তে দ্বীন প্রায়োরিটি দিতেন!
এবার আমার ভাইয়ার একটা উক্তি দিয়ে শেষ করি। ভাইয়ার ঘটকালি করার আগে জিজ্ঞেস করেছিলাম: ভাবী কি সুন্দরী হতে হবে?
ভাইয়া বলেছিলো: দ্যাখ, বউ তো শো পিস নয়, যে শোকেসে তুলে রাখবো, কিংবা রাস্তায় রাস্তায় প্রদর্শনী করিয়ে বেড়াবো। যার সাথে সংসার করা যায়, দ্বীন নিয়ে চলা যায়, এমন সভ্যশান্ত একটা মেয়ে খোজ, চেহারা এভারেজ হলেই চলবে।