গতকাল এক খুব কাছের ফ্রেণ্ড মেসেজ দিল। ভাববস্তু অনেকটা এরকম- “তোর পড়াশোনার বিষয় চেঞ্জ করা দরকার। যার কাছে দালীলের জ্ঞান নাই তার চাইতে যে পলিটিক্সের বিষয়ে অজ্ঞ সে উম্মাহর জন্য বেশি ক্ষতিকর। কারণ, দালীলের বিষয়ে যে অজ্ঞ মানুষ তার কথা শুনবে না কিন্তু যে দালীলের জ্ঞান রাখে কিন্তু পলিটিক্সের জ্ঞান রাখে না তার কথা মানুষ শুনবে এবং সে মানুষকে পথভ্রষ্ট করবে। রেফারেন্স ? শায়খ আব্দুল আযীয আত তারিফী।”
আমি তাকে কী রিপ্লাই করেছিলাম সেটা এখানে বলার দরকার নাই। তবে আজ আমার শিক্ষক এবং উস্তায নাহিদ হাসান একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন যেখানে যারা ঐ ধরণের মতামত পোষণ করেন তাদেরকে খুব সুন্দরভাবে নাসীহা করা হয়েছে। চিন্তাশীল মাত্রই বুঝবেন আমি শায়খ তারিফীর বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে কিছু বলছি না। যাই হোক, উস্তাযের লিখাটি হুবহু তুলে দিচ্ছি-
“সেকেন্ডারী লেভেলে ভালো করার শর্ত হল প্রাইমারী লেভেলে মজবুত হওয়া। ভাইয়েরা যখন ইসলাম নিয়ে জানতে চায় তখন সমস্ত সিলেবাসটা একসাথে নিয়ে বসে। এমনকি সেখানে বিশ্বযুদ্ধের সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক কিংবা ইখতিলাফপূর্ন মাসালার সর্বোচ্চ বাহাসও বাদ যায় না।
হ্যা, ভাইয়েরা এগুলো তো জানা দরকার কিন্তু কখন? প্রথম রাতেই তো সব জানা যাবে না। সময়ের সাথে সাথে শিখতে হবে। চিন্তা করে দেখ ছোটবেলায় কিন্তু একসাথে একবছরের সিলেবাস দেখেছিলে, দশ বছরের নয়।
দ্বীনের ক্ষেত্রে তাহলে ব্যতিক্রম কেন? এখানেও তো প্রাথমিক, সেকেন্ডারী, অনার্স মাস্টার্স আছে। আগে তো ভালো করে মৌলিক বিষয়গুলো শেখ তারপর না হয় ফ্রিমেসনের ডকুমেন্টারী দেখা যাবে।
আর যখন যা পড়বে মনে রেখে পড়বে। গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন। কি তাই না?”

৯ অক্টোবর, ২০১৫

হোসেনী দালান, ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *