জীবনের অর্থ

টাইমলাইন ঘেঁটে নিজের পুরনো লিখাগুলো পড়ছিলাম। ১২/৬/২০১৩ তে দেওয়া একটা স্ট্যাটাসের কমেন্টে চোখ আটকে গেল।

স্ট্যাটাসটি ছিল-
“কেউ জীবনের অর্থ খুঁজে না পেয়ে স্রষ্টাদ্রোহী হয়, কেউবা আবার জীবনের অর্থ খুঁজে পায় সুর আর গান কিংবা শরৎ এর সমাজদ্রোহীতা, রবি বাবুর নৌকাডুবি অথবা জীবনানন্দের পঞ্চমীর চাঁদের ভিতর। এরা থমাস হার্ডির বুকফাটা (!) প্রেমের উপন্যাসের মাঝে গভীর জীবনবোধ এর সন্ধান করে পুলকিত হন আর ভাবেন ‘আহা! জীবনতো এমনই ট্র্যাজিক’। কেউবা আবার জীবনের অর্থ খুঁজে পেলেও গন্তব্যের ট্রেনে উঠতে ভুল করেন। খুব কম সংখ্যক মানুষই জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়ে জান্নাতের পথ ধরে। আল্লাহ, তুমি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর।”

কমেন্টটা ছিল-
“রমজানের রোজা রাখতে সেহেরীর জন্য ঘুম থেকে একটু আগেভাগে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় শেষে মুনাজাতে আল্লাহর কাছে কাঁদার মত পরিতৃপ্তি পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না, বারান্দায় দাড়িয়ে নির্জনতার বুক চিরে ফাজরের আযানের মায়াময় ধ্বনি শুনে হৃদয়ের গভীরে কোথায় যেন অপার্থিব এক প্রশান্তির অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে, কুরআনুল কারীমের সুরাহ আর রাহমানের প্রতিটা পঙক্তিতে অস্তিত্বের সবখানে কি যে অচেনা এক শিহরণ জাগে… এইসবে আজকাল জীবনের মানে খুঁজে পাই। অন্য কোথাও কোন কাজে কোনদিন এতটা তৃপ্তি পাইনি।”

১ অক্টোবর, ২০১৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *