বর্তমান সময়ে যখন সবাই ইসলামকে রসগোল্লা বানিয়ে গিলতে ও গিলাতে চায় তখন রেফারেন্স যাচাই করার মানসিকতা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হল রেফারেন্স যাচাই করতে শেখা। কিন্তু এই “রেফারেন্স” সচেতনতাকে কি আমরা কখনও কখনও একটু অন্যভাবে ব্যবহার করছি না ?
কাউকে যখন ফিক্বহী দৃষ্টিকোণ থেকে ফরয-ওয়াজিব ইত্যাদি নয় এমন কিছু পালন করতে বলা হয় তখন খুব কমন একটা কথা হল “এটা ফরয না”, “ওটা ওয়াজিব না” ইত্যাদি ই্ত্যাদি। যখন মনে করিয়ে দেওয়া হয় এটা “সুন্নাহ” তখন আবার প্রশ্ন আসে যে এটা Sunah of Ibadaah নাকি Sunnah of Custom ? Sunnah of Ibadaah (ফরয সালাতের আগে-পরের সালাত, সপ্তাহের দু’দিনের সিয়াম…) হলে নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও মেনে নিই আর Sunnah of Custom (যেমন-টুপি, পাগড়ি…) হলেতো কথাই নাই- এমনভাব করি আমরা যে এগুলো প্রাচীন, সেকেলে আরবীয় কালচার; আমাদের কালচারে এগুলো নাই। অনেকেতো আরও একধাপ এগিয়ে Sunnah of Ibadaah কেই তাচ্ছিল্য করে বসে। যারা তা নাও করে তাদের অনেকেই অন্তত Sunnah of Custom কে অপালনীয়-সেকেলে হিসেবে গণ্য করে এবং এরপরেও তৃপ্তি সহকারে নিজেদেরকে “আহলুস সুন্নাহ” দাবী করে।
এরপর থেকে “সুন্নাহ”কে তাচ্ছিল্য করার সময় যেন আমরা চিন্তা করি যে আসলে এর মাধ্যমে আমরা কাকে তাচ্ছিল্য করছি? আমরা কি সেই মানুষটাকেই তাচ্ছিল্য করছি না যিনি গভীর রাতে সালাতে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্যই কাঁদতেন ? আমাদের জন্যই যিনি পেটে পাথর বেঁধেছিলেন ? আর আমরা এই প্রতিদান দিলাম তাঁকে ? “সুন্নাহ”কে এভাবে অবজ্ঞা করে কিয়ামতের দিন তাঁর শাফায়াত চাইব কোন মুখে ? কাউসারের সামনে পানির জন্য দাঁড়াব কোন মুখে ?
মাত্রাতিরিক্ত বুঝদার হওয়া থেকে আমরা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪