জাফর স্যারের একটি কলাম ও কিছু কথা

বুকের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করি যখন দেখি রিচার্ড ডকিন্সের মত উচ্চমানের(?) বিজ্ঞানীদেরও ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি ওসামা বিন লাদেন, নাইন ইলেভেন আর বোরকা পর্যন্ত। আর সে জ্ঞানটাও অর্জন করেছে বর্তমান পশ্চিমা মিডিয়ার বদৌলতে। বাংলাদেশের কিছু লেখক,বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞানও রিচার্ড ডকিন্সের এর চেয়ে খুব একটা বেশি না। সম্প্রতি জাফর ইকবাল স্যারের যে লেখাটা নিয়ে ব্লগ ফেসবুকে বিতর্কের ঝড় বইছে সেটা ইসলাম নিয়ে স্যারের দীনতা আর তথাকথিত চুশীল মানুষদের ইসলাম সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞানের প্রতিফলন বৈ অন্যকিছু নয়।

স্যারের এ লেখাটা নিয়ে অনেক মুসলিম ভাই লেখা দিয়েছে আবার সে সকল লেখাকে রিফিউট করে অনেকে লেখা দিয়েছে। অনেকে তো এমন আকুন্ঠভাবে স্যারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে পড়েই  আমি ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। তারপরও আবেগ দিয়ে তো আর দুনিয়া চলেনা, তাই এ লেখাটা যথেষ্ট আবেগ বিসর্জন দিয়েই লেখার চেষ্টা করেছি। স্যার যে লেখাটা লিখেছেন তার কিছু বিষয় এবং যারা তার প্রেমে আবেগআপ্লুত তাদের ও দু একটা জিনিস আমি এ লেখায় আলোচনার করার চেষ্টা করব। স্যার বলেছেন-

“কক্সবাজারের পথে একবার হঠাৎ একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা। মেয়েটি বলল, ‘স্যার, আমি আপনার ছাত্রী।’ আমি খুবই অপ্রস্তুত হলাম, নিজের ডিপার্টমেন্টের একটা ছাত্রীকে আমি চিনতে পারছি না। আমি এত বড় গবেট! ছাত্রীটি তখন নিজেই ব্যাখ্যা করল। বলল, ‘স্যার, আমি তো ডিপার্টমেন্টে বোরকা পরে যাই, তাই আপনি চিনতে পারছেন না।’ আমি তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। ক্লাসে যার শুধু এক জোড়া চোখ দেখেছি, তাকে আমি কেমন করে চিনব? কিন্তু গত ৫০ বছর যে মেয়েদের একটি প্রজন্মকে ঘরের ভেতর আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, সেই প্রজন্মকে নিয়ে আমরা কী স্বপ্ন দেখব?

এ শেষ লাইনের সাথে এর আগের লাইনগুলোর মিল কতটুকু? এ শেষ লাইনটি পুরোপুরি অপ্রাসংগিক। সবচেয়ে বড় কথা এ প্যারাটি অসংলগ্ন এবং সাংঘর্ষিক। হিজাব পরা যে মেয়েটাকে তিনি চিনতে পারলেননা, সে মেয়েটা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। তাহলে কিভাবে তিনি শেষ লাইনে বলতে পারলেন মেয়েদের ঘরের ভেতরে আটকে রাখা হয়েছে? পর্দার কারনে মেয়েদের যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা হয় তাহলে এ মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন?এরকম সাংঘর্ষিক,আত্মঘাতী কথা স্যার বলেছেন বলে আমার মনে হয়না। শুনেছি যারা বিখ্যাত হয় তাদের নামে অনেক লেখা চালিয়ে দেয়া হয়, যা আদৌ সে সকল বিখ্যাত ব্যক্তিদের লেখা না। আমি জানিনা, এ লেখাটির ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়েছে কিনা, যদি হয়ে থাকে আমি আনন্দিত হব। তবে সেটা সম্ভাবনা যে খুব একটা নেই, সেটা চিন্তা করে খুব খারাপ লাগছে।

স্যার ভাষা আন্দোলনে হিজাববিহীন মেয়েদের কথা উল্লেখ করে ঠিক কি মেসেজ দিতে চেয়েছেন তা আমার ঠিক বোধগম্য হয়নি, সে প্যারার শেষের লাইনটি পড়লে কিছু বিষয়ে ধারনা করে নেয়া যায়-

“যে সমাজে পুরুষ আর নারী সমান সমানভাবে পাশাপাশি থেকে কাজ করে, সেই সমাজকে মৌলবাদীদের, ধর্ম ব্যবসায়ীদের খুব ভয়। তাই মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক”। 

পশ্চিমা বিশ্বে একটা ধারনা প্রচলিত আছে মাথায় কাপড় দেয়া দাসত্বের প্রতীক। স্যারের গুনমুগ্ধ জনৈক ব্লগার স্যারের লেখাকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে লিখেছেন-

 “মানুষকে বোঝানো হয়েছে পর্দা করা মানে বোরকা পরা তারা ভেবেছে মেয়েদেরকে তো আর শারীরিকভাবে আটকে রাখা সম্ভব না এই যুগে, তাই মানসিকভাবেই আটকে রাখা হোক!

পর্দা সম্পর্কে মানুষের এরকম ধারনা হল কেন? এরকম ধারনা কি আকাশ থেকে এসেছে? নাহ!

এটা নিয়ে কিছুটা পড়াশুনা করতে গিয়ে আমি যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে  এ ধারনা উৎপত্তি বাইবেল। বাইবেলে আছে-

“স্ত্রীলোক যদি তার মাথা না ঢাকে তবে তার চুল কেটে ফেলা উচিত। কিন্তু চুল কেটে ফেলা বা মাথা  ন্যাড়া করা যদি স্ত্রীলোকের পক্ষে লজ্জার বিষয় হয়,তবে সে তার মাথা ঢেকে রাখুক…………স্ত্রীলোকের জন্য পুরুষের সৃষ্টি হয়নি, কিন্তু পুরুষের জন্য স্ত্রীলোকের সৃষ্টি হয়েছিল। এই কারনে এবং সবর্গদূতগনের অধীনতার চিহ্ন স্বরূপ একজন স্ত্রীলোক তার মাথা ঢেকে রাখুক”। (১ম কারিন্থীয় ১১: ৬-১০)

পশ্চিমা ফ্রি থিংকারেরা (?) খ্রীস্টধর্মকে আক্রমন করে এ কথাগুলো বলে। অতি দুঃখের বিষয় এই যে,আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেনীও মস্তিষ্ককে নুন্যতম কাজে না লাগিয়ে এসকল জিনিস আমদানী করছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে বলার ক্ষেত্রে এসকল জিনিস ব্যবহার করছে। ইসলামে কোথাও বলা নেই পর্দা করা বা মাথা ঢাকা দাসত্বের চিহ্ন। ইসলাম সচরাচর বাইরের কাজ হতে নারীদের নিরুৎসাহিত করে। তবে একান্ত প্রয়োজনে বাইরে নারীরা যেতে পারে। হিজাব পরেই আজকাল নারীরা সব ধরনের কাজ (হালাল কাজ) করছে। স্যার, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করা মেয়েরা হিজাব পরিহিত ছিলনা এ কথা দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন আমি জানিনা, তবে আয়েশা (রাঃ),উম্মে সালিত (রাঃ),সাফিয়া (রাঃ)ও জিহাদের ময়দানে অংশগ্রহন করছিলেন এ কথা হয়ত স্যার জানেননা। না জানা থাকতেই পারে, একজন বিজ্ঞান জানবেন বলে যে ধর্মও ভাল জানবেন এমন তো কোন কথা নেই, তবে বিপত্তি বাধে তখন যখন তার গুনমুগ্ধরা তার সব কথাকে ওহী ভেবে বসে থাকে। এরকম অন্ধনুসারী ও গোঁড়াদেরকে ইসলামও পছন্দ করেনা।

আজকাল বাংলাদেশে প্রগতিশীলতার এক নতুন স্কেল নির্ধারন করা হয়েছে তা হল, নাস্তিকতা ও স্বাধীনতা। যে যত বেশি ধর্মকে গালি দিতে পারবে সে ততবেশি মুক্তমনা,প্রগতিশীল,বুদ্ধিজীবী। আর কথায় কথায় সবকিছুকে “কুমিরের লেজ খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা” কৌতুকের মত স্বাধীনতা,৭১, রাজাকার এরকম উপসংহারে নিয়ে যাওয়া অতি প্রগতিশীলতা ও দেশ প্রেম  নির্ধারক মাপকাঠিতে পরিনত হয়েছে। এমনকি পরিমলের ঘটনার পরও দেখলাম এ ধর্ষনের কথা বলতে গিয়ে অনেকে সেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ধর্ষনের বুলি আওড়ানো শুরু করেছিল।আমি জানিনা এর উদ্দেশ্য আসলে কি? স্যারের অনেক বইতেও আমি দেখেছি শিশু কিশোরদের মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার জন্য  কথায় কথায় একাত্তর, রাজাকার চলে এসেছে। এটাতো অবশ্যই ভাল। আমাদের শিশু কিশোররা অন্যায়ের প্রতিবাদ শিখবে,মজলুম হলে কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয় সেটা শিখবে। কিন্তু বিপত্তিতা বাধে তখনই যখন এ চেতনায় চেতিত করতে গিয়ে মুসলিমদের কিছু লেবেলকে অত্যন্ত কৌশলেই হেয় করা হয়। ধরুন কেউ দেশের পতাকা গায়ে চাপিয়ে দেশদ্রোহিতা করল, কোন অনৈতিক কাজ করলো এরপর যদি তাকে ঘৃনা দেখাতে গিয়ে পতাকায় থুথু ছুঁড়ে মারি তাহলে তো সমস্যা। কারন আমাকে বুঝতে হবে এখানে পতাকা নির্দোষ। সবচেয়ে বড় কথা এ পতাকার প্রতি লক্ষ লক্ষ মানুষের মায়া মমতা,ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জড়িয়ে আছে।স্যারের কোন এক বইতে আমি পড়েছিলাম যে এক কিশোরের কোন লোকের দাড়ি ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে।আমি জানিনা, দাড়ি কি রাজাকারের চিহ্ন নাকি? আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী বলে সাকা চৌধুরী রাজাকার। কই তার তো দাড়ি নেই, টুপিও নেই। তাহলে রাজকারের সিম্বল হিসেবে দাড়িকে আর টুপিকে এভাবে প্রচার করার মানে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নাকি অন্যকিছু সে বিষয়টা আমাকে কিঞ্চিৎ ভাবিয়ে তোলে। ইংরেজরা তো আমাদের ২০০ বছর রক্ত চুষে খেয়েছে,তাদের সে কাহিনী আসেনা কেন? পাকিস্তানের সেজান জুস খেতে গিয়ে দেশপ্রেম উতলে উঠে ইংরজদের থেকে আমদানি জিনিস খেতে কিংবা সে ইংরেজ প্রিন্সের বিয়ে যখন আমাদের টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে তখন দেশপ্রেম যায় কই সেটা আমার দেমাগে আসেনা। যারা এভাবে স্বাধীনতার কথা বলে তাদের কাছে আমার অনুরোধ ৪০% পাকিস্তানের অত্যাচার আর ৬০% ইংরেজদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরুন,শিশু কিশোরদের বুঝান যে কিভাবে  স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হয়,কিভাবে মজলুম হলে অধিকার আদায় করে নিতে হয়।

বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনা উচিত এটা সত্য, তবে ইংরেজী শিক্ষায় দক্ষ না এ বলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরিক্ষায় অংশ্রগ্রহনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত কতটুকু সুবিবেচনা প্রসূত সে প্রশ্ন থেকেই যায়।আর আন্দোলন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া অন্যান্য ইউনিভার্সিটিতেও কৃতিত্বের সাক্ষর রাখা এ প্রশ্নের ইনটেনসিটিকে আরো অনেক বাড়িয়ে দেয়।

স্যার সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশীর  শিরচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তিনি এ আইনকে নিষ্ঠুর মধ্যযুগীয় বুঝাতে চেয়েছেন।সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থা কতটুকু স্বাধীন কিংবা শুদ্ধভাবে এ সাজা কার্যকর করেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু যখন কোরআনের আইন নিয়ে প্রশ্ন করছেন তখন কতটুকু মুসলমানিত্ব নিয়ে প্রশ্ন টি ছোঁড়া হয়েছে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন।

স্যার আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছেন –

“তরুণ প্রজন্ম’ বললেই আমাদের চোখে টি-শার্ট পরা সুদর্শন কিছু তরুণ ও উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া  পরা হাসিখুশি কিছু তরুণীর চেহারা ভেসে ওঠে”।

 আমি বুঝলাম না ফতুয়া কি বাংলাদেশের তরুনীদের পোশাক নাকি? এ বিষয়টা নিয়ে অনেকে লিখতে গিয়ে বলেছেন স্যার মেয়েদের জিন্স- টি শার্ট পড়ে রাস্তায় দেখতে চান। স্যারের কথা দ্বারা কেউ যদি এ ব্যাখ্যা দেন, তাহলে আমি অবশ্য তাকে খুব একটা ভাল ব্যাখ্যা বলব না। তবে এ সকল ব্যাখ্যাদাতাদের জবাব  স্যারের এক অন্ধ ভক্ত দিতে চেয়েছেন। তিনি এর জবাব হিসেবে স্যারেরই পরবর্তী কথাটি উদ্ধৃত করেন-

“আমাদের দেশে মোবাইল ফোন আসার পর কোম্পানিগুলো পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে, আর এ বিজ্ঞাপনের কারণেই সম্ভবত তরুণ-তরুণীদের এ ছবি আমাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি অবশ্য বিজ্ঞাপনের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে কাছাকাছি বাস করি, তাই মাঝেমধ্যেই আমি ভুলে যাই যে ছবিটি সম্পূর্ণ নয়”।

তার কথানুযায়ী স্যার এখানে বিজ্ঞাপনের দোহাই দিয়েছেন এবং স্পষ্ট বলেছেন “এ ছবিটি সম্পূর্ন নয়”

যদি তার এ কথা মেনে নিই তাহলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়-

১,আজকের মিডিয়াগুলো স্যারের মত একজন বিজ্ঞলোকের মগজকেও কিছুটা বিভ্রান্ত করে ফেলেছেন তাহলে আমাদের সমাজে যে পশ্চিমা সংস্কৃতি এবং ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি ঢুঁকে যাচ্ছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত স্যার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন বা কি কি লিখেছেন?

২,অসম্পূর্ন নয় বলতে কি বুঝানো হয়েছে? স্যার কি মিনি স্কার্ট দেখতে চান? আরো বেশি খোলামেলা হলে ভিটামিন ডি আরো অধিক পরিমানে পাওয়া যাবে এরকম কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি  তিনি দিতে চান কিনা আমি জানিনা।আপনি হয়ত আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন এরকম নেগেটিভ চিন্তা করার যুক্তি কি?এক বন্ধু মারফত ব্লগে স্যারের মেয়ের কিছু ছবি পেলাম।এভাবে কোন মেয়ের ছবি দেয়া ইসলামিকভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।তাই আমি তা শেয়ারও করিনি।কিন্তু এ ছবি দেখার পর আমি কিছুটা বিব্রত।অনেকে যুক্তি দিচ্ছেন মেয়ে ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে থাকে তাই এগুলো খুব স্বাভাবিক। হাউ ফানি!আমি এখন আফ্রিকাতে গেলে আমার সংস্কৃতি ঐতিহ্য সব ভুলে গিয়ে তাদের সংস্কৃতিতে দ্রবীভুত হয়ে যেতে হবে?তার মেয়েকে এসব বিষয়ে তিনি আদৌ বলেছেনে কিনা সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না, তবে এ ব্যাপারটিকে তিনি কিভাবে দেখছেন সেটা জানতে খুব ইচ্ছা করছে।

অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা করছে।লেখার কলেবর বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে বলে সম্ভব হচ্ছেনা।স্যারের এ লেখার পড়ে দুটো সম্ভবনা আমার মনে উঁকি দিচ্ছে।

১,স্যার ইসলাম সম্পর্কে কিছু না জেনেই কিছু জিনিস লিখতে বসেছেন।সেটা যদি হয়ে থাকে তাহলে তা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছুনা।তিনি তার ভুল বুঝতে পারলেই হয়।

২,তিনি ইচ্ছা করেই এরকম একটা লেখা দিয়েছেন।যদি তাহয় তাহলে বলব তিনি পাবলিক সেন্টিমেণ্ট বুঝেননা।কিছু কিছু ক্ষেত্রে লেখকদের পাবলিক সেন্টিমেন্টের কথা মাথায় রাখতে হবে।এ ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলেই আমার মনে হয়।

পরিশেষে বলতে চাই,পরিমলের বিচার,সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ আন্দোলন,তেল গ্যাস রপ্তানি,ট্রানজিট ও করিডোরের দেয়ার মত জাতীয় ইস্যুগুলোতে স্যারের কলম চলাটাই আমাদের মত আম জনতার একান্ত কাম্য।এ সকল বিষয়গুলোতে স্যারের ক্ষুরধার লেখা বাংলার শিক্ষিত জনতা আশা করে।শুধু শুধু ধর্মের মত জটিল ইস্যুতে লিখে  পুরনো প্রবাদ “অল্প বিদ্যা ভয়ংকর” প্রমানের দায়িত্ব স্যার নিজের হাতে নানিলেই আমার মত অধম খুশি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *